Sunday, July 26, 2015

স্রোতস্বেনী’বঙ্গ...


আমার এক শিরাতে যমুনা বহে
আরেক শিরায় পদ্মা,
একজন চলে শান্ত স্বাধীন; আরেক জন প্রমত্তা।

পাহাড় বেয়ে ঝর্ণা হয়ে
আমার কর্ণফুলি ক্ষরস্রোতা,
পদ্মা যমুনা এক সাথে মিশে; সৃষ্টি মেঘনা নামের একতা।

বুড়িগঙ্গার কাঁধে ভর দিয়ে
দাড়ানো আমার প্রাণ নগর,
আবার আড়িয়াল খাঁ দুই ধারে; শোয়া ধু ধু মরু ভূমি বালুর চর।

তিতাস আমার তীব্র বাসনা
তিস্তা আমার মান,
সুরমা নদীর পানিতে পাই আমি; শাহজালালের ঘ্রাণ।

করতোয়া কোলে কৃষ্টি আমার
কুশিয়ারা জোড়া কান্না,
শীতলক্ষ্যা শীতল শ্যামল; তবু বাধঁ ভেঙ্গে আনে বন্যা।

ব্রক্ষ্মপুত্র সাঙ্গু ছোটে
পেতে বঙ্গ সাগরের মোহনা,
তারই মাঝে আছে সুপ্তহয়ে; আমার বাংলাদেশের ঠিকানা।


২৪শে অগ্রহায়ন,১৪২০ বঙ্গাব্দ।

"Jol Chobi"Photo: Arefin Rumon

Thursday, June 25, 2015

দাসত্ব


আজ নিজেরই মত ব্যক্ত করিব
যৌবন -এর জানা গুরুত্ব,
উনিশ বছর বয়স আমার
যৌবন - যাবার মূর্হুত

যৌবন মানে দিশেহারা নয়
যৌবন মানে দায়িত্ব,
যৌবন হল মাথা উচু করে
ইতিহাসে লেখা বীরত্ব।

যৌবন মানে পোক্ত ঈমান,
যে ঈমানে জীবন মহান।
যৌবন মানে সৃষ্টি করা,
কৃষ্টি গড়ার কৃতিত্ব।

যৌবন মানে অপ-পথ নয়,
যৌবন করে বিশ্ব বিজয়।
যৌবন খেলে প্রাণ বাজী রেখে,
এইত তাহার মাহত্ব।

যৌবন নয়ত নদীর জোয়ার,
আসি যাই করা চরিত্র যার।
যৌবন হল সূর্যের মত,
পোড়া তাপদাহ দারস্ত।

যৌবন হল গিড়ি কান্ডারী,
যৌবন ফেলে মহাকাশ ফারি।
যৌবন দল যেথা বাস করে,
সেথা নাই কোন দাসত্ব।

যৌবন লেখা আমার বয়ান,
এখানেই এসে হল অবসান।
যৌবন -এর তাতে কিছু আসে না,
চিরকাল তার স্থায়ীত্ব।


১৩ই কার্তিক, ১৪২০ বঙ্গাব্দ

Wednesday, June 24, 2015

অভিশাপ


১৮টি শান্ত বছর পেরিয়ে
যৌবন আজ দুর্জয়,
রক্ত কর্ণফুলির ধারায়
ধমনী-শিরায় বয়

তরবারি তোর নাকের ডগায়,
কে আছিস !!!
আজ রোখ রে আমায়
মস্তক তোর ছিন্ন করি,
লুটাব আমার পায়
নেই তোর কোন বাপের সাদ্ধ
আমায় আজ ঠেকায় ।।
ডাক তুই তোর আল্লারে ভীরু,
কাঁদিয়া ভাসা আছে যত মরু
জীবন ভিক্ষা চায়রে তুই তোর মহান প্রভুর কাছে,
জানিনা আমার কোন হাতে তোর মরন লেখা আছে
নাই কি মনে সেসব কথা ?
খুলে দেখ পিশাচ; ইতিহাসের খাতা।
দেখবি;
শহীদের রক্তে রাঙ্গা রক্তিম যত তোদেরই কর্ম পাপ,
জানিস ???
    শহীদ-জননী মোনাজাতে দেয় তোদের অভিশাপ
    যতই করিস আল্লাহ-রাসূল, জিকির করিয়া হোসরে ব্যাকুল
    আখিরাতে তুই পাবি নেরে কুল, শোনরে গোরার দল
    কিতাব খুলে দেখরে বোকা, দেখতে পাবি সেথায় লেখা,
    মায়ের দোয়া কিংবা অভিশাপের ছোয়া যায়না কভু বিফল ।।।



২০শে অগ্রহায়ন, ১৪১৯ বঙ্গাব্দ

Tuesday, June 23, 2015

কবি-সাহেব


কি কবি ভাই ? আছেন কেমন ??
শরীর স্বাস্থ্য ভাল তো ???
আচ্ছা মিয়া-ভাই, এত কবিতা
লেখেন কেমনে বলেন তো ????

প্রশ্ন শুনিয়া অবাক হইয়া; ভাবিলাম,
আজ পরলাম বুঝি মুশকিলে
কেমন আমি কবিতা লিখি
ভাবিয়াছি ইহা কোন কালে

জৈনকে বলিল :-
কি ভাই-সাহেব; ভাবছেন কি ?
উদাস কেন তাকানো ??
লেখেন কেমনে সেটা কি আমায়
যাবে না আজকে বুঝানো ???

অবশেষে :-
শব্দ শুনিয়া চেতনে আসিয়া
গলা খাকরাইয়া মিনিট তিন
উত্তর দিয়াছি যাহা দিয়াছিনু জৈনকেরে
নিজেরাই তাহা দেখিয়া নিন

বলিয়াছিনু :-
মস্তিস্কে মোর ভাবনার সৃষ্টি
হৃদয়ে হয় তার বিকশন,
হৃদয় হইতে হস্তে আসিয়া
হয় যে তাহার বিষ্ফোরণ



১১ই আষাঢ়, ১৪২০ বঙ্গাব্দ

Sunday, June 21, 2015

ভালোবাসি তোমায়


ভালোবাসি তোমায় ;    তিমির রাত্রী হঠাৎ ভোর হলে,
ভালোবাসি তোমায় ;    বিকেলের সাদা মেঘের চাদর নীলে।
ভালোবাসি তোমায় ;    যখন তখন
                                     যখন যেভাবে থাকি,
                                     লাল সবুজ আর সোনালী রঙ্গে
                                     তোমারই ছবি আঁকি।
ভালোবাসি তোমায় ;    রাজপথে ফের হরতাল ডাকা হলে,
ভালোবাসি তোমায় ;    চোখ জ্বালা করা অন্ধ কোনদগ্ধ টিয়ারসেলে।
ভালোবাসি তোমায় ;    গাড়ি ভাঙ্গচুর বৈশাখী মিছিলে,
ভালোবাসি তোমায় ;    ট্রেনে বাসে ট্রামে আগুন দেবার কালে।
ভালোবাসি তোমায় ;    টানা সাতদিন অজানা অবরোধে,
ভালোবাসি তোমায় ;    বিচার বিহিন রাজবন্দীররাজ ক্রধে।
ভালোবাসি তোমায় ;    মুক্তি পাবার রেসকোর্সের মাঠে,
ভালোবাসি তোমায় ;    স্বাধীন ঘোষনা জিয়ার কালুরঘাটে।
ভালোবাসি তোমায় ;    গণতন্ত্র, শহীদ নূরের পিঠে,
ভালোবাসি তোমায় ;    পহেলা বৈশাখ বোমা ফাটানোর গীতে।
ভালোবাসি তোমায় ;    সারাদেশ ব্যাপী জঙ্গীর হামালায়,
ভালোবাসি তোমায় ;    আজও ঝুলে থাকা, যুদ্ধাপরাধের মামলায়।
ভালোবাসি তোমায় ;    সময় যখন সরকার বদলের,
ভালোবাসি তোমায় ;    যখন ছলনা বুঝিনা মিথ্যুক নেতাদের।



১১ই কার্তিক,১৪১৯ বঙ্গাব্দ

Wednesday, June 17, 2015

স্পর্ধা


যদি ঘুমিয়ে পোরে থাক তবে জেগে উঠো, তোমাকে জাগতে হবে
আমার ঘুম কেরে নিয়ে; তুমি কিভাবে ঘুমিয়ে আছ, তুমি ঘুমবেনা !
ঘুমনোর অধিকার কে দিয়েছে তোমাকে, কার এত বড় স্পর্ধা ?

সে কি জানেনা; তুমি আমার ঘুম ঘাতক, তুমি নৃশংষভাবে খুন করেছ
আমার সকল চেতনা, ছিনিয়ে নিয়েছ আমার বিলাসী মন, কেরে নিয়েছ
আমার জাগতিক চিন্তাগুলো; হরণ করেছ আমার দোতলা বাড়ির ছাদ,
সেখানে আর জোৎস্না নামে না, আসেনা ভোরের আলো, প্রবল কুয়াশা
কাটিয়ে সেখানে হাসে না কোন মিষ্টি রোদ।

হ্যাঁ; তুমি চোর, তুমি চুরি করেছ আমার ফুসফুসে লুকিয়ে রাখা সকল হাসি,
ছিদ্র করে দিয়েছ আমার ফুসফুসে, আমার ফুসফুস আজ ক্ষত-বিক্ষত।
তাবুও তুমি ঘুমাবে ? কে দিয়েছে তোমাকে এত বড় র্স্পধা ??

তুমি অবস করেছ আমার দু চোখের পাতা, এখন তারা জড় হয়ে থাকে
পলক ফেলতে চায় না কিছুতেই, তারা র্নিবিকার এটে থাকে আমার ভ্রুর সাথে
তারা নামে না; বুজিয়ে দেয় না আমার দু চোখ, তারা অভিমান করেছে।
তারা অভিমান করেছে আমার উপর ঠিক তোমারই মত কিন্তু তারা ছেরে যায়নি আমাকে
জন্মের মত, তারা এখনও আমার সাথে থাকে ; আমারই শরীরে
চোখ ভরা অভিমান নিয়ে তারা আমাকে জিঙ্গাসা করে,  “ তুমি কেন কাদঁনা ?
কাঁদিয়ে কেন ভাসিয়ে দেও না মহাসড়কের গাছ গুলো ?? কেন তোমার
চোখের কোনে কোন জলোচ্ছাস ওঠে না ??? তুমি কি পাথর হয়ে গেছো ????
যদি তুমি পাথর হয়ে থাক, তবে আজ থেকে আমিও পাথর হলাম
তাই তারা পলক ফেলে না, বুজিয়ে দেয় না আমার দু চোখ।
আমি তাদের কেমনে বোঝাই যে; আমি কাদঁতে পারি না, আমি কাদঁতে শিখিনি আমি কোন দিন,
আমি তারায় বিশ্বাস করিনা তাই তারার দিকে চেয়ে তোমার  জন্যে কাদঁতে পারি কোন দিন।


এখনও যদি ঘুমাতে চাও; ঘুমাতে পার তুমি, যাও আমিই দিলাম তোমাকে সেই স্পর্ধা।।।

Tuesday, June 16, 2015

সেবা


জানেন তো ভাই ? এই আমরাই
আপনারই পায়ে পরি,
দাঁত কপাটি বের করে কত
মধুময় বুলি ঝারি

আপনারা ভাই মফিজ-মানব
ভোলেন আমার কথায়,
৫০০টা টাকা ধরিয়া দিলে
তুলিয়া রাখেন মাথায়।

ভোট কেনার আমি তো আবার
আজব সওদাগর,
চুমি যে গালে ভোটের আগে
অত:পর সেই গালেই থাপ্পর।

ভোট ব্যচেন চান উন্নয়নও
আক্কেল আপনার কেবা ?
কোন শালা কয় করতে এসেছি
আমি আপনার সেবা ??

তবুও যদি চান সেবা আপনারা
তাও দেওয়া যেতে পারে,
সেবা আমারও বড় হয়তেছে !
বাড়ির পেছনের বাঁশ-ঝাড়ে !!
লাগলে না হয় দিয়ে দেব সেবা !!!
কি আর আছে করার,
বছর পাঁচেক যাবার পরে তো আবার
আপনারই দরকার ।।।



২৬শে ফাল্গুন,১৪১৯ বঙ্গাব্দ

Monday, June 15, 2015

অন্তঃপুর


আমাবস্যায় চাঁদ উঠেছে
চাঁদ উঠেছে উঠুক,
শুধু আমার ছাঁদে বেলকুনিতে; তোমার কলঙ্ক রটুক।

রাত্রী ঝড়ে শেষ প্রহরে
ঘটনা কিছু ঘটুক,
ঘটনা জানতে বিশ্ব মিডিয়া; আমার পেছনে ছুটুক।

পত্র-মূলে দলবলে
ফুলের কলি ফুটুক,
ফুলের গন্ধে আকুল হয়ে; কোকিল গায়ে মরুক।

মেঘের সুরে অন্তঃপুরে
মন ময়ূরী নাচুক,
নাচের তালে দুঃখ ভুলে; বাঁচার মত বাঁচুক।

রঙিন রথে প্রেমের পথে
প্রেম আমাদের চলুক,
প্রেম আমাদের ক্লান্ত হয়ে; সাগর জলে ডুবুক।

লোকের খুশি বলুক বেশি
লোকে যা বলে বলুক,
শুধু তোমার প্রেমে আমার বাঁশি; ব্যাকুল হয়ে বাজুক।



৩রা ফাল্গুন, ১৪২১ বঙ্গাব্দ

Saturday, June 13, 2015

গগণ-বাবু


গর্জে উঠেছে গগণ-বাবু
আর কত কাল থাকবে চুপ ,
কাল বৈশাখীর মাতাল হাওয়ায়
কাঁপছে আমার বুক

বৃষ্টি ঝরছে অঝোড় বেগে
- ভেজা বাতাসও স্নিগ্ধময় ,
কালো মেঘের আড়াল থেকে
বিদ্যুৎ দিচ্ছে যে পরিচয়

আজকে হঠাৎ বর্ষা পেয়ে ;
জানালা দিয়ে বাইরে চেয়ে ,
শুনছি মেঘের গান ;
সেই গানেতে লুকিনো যেন করুন অভিমান

অভিমান তুমি করলে কর
আজ মান ভাঙ্গাব না ,
আজি রাতে ছাদেতে গিয়ে
আমি ভিজতে পারব না

যদি জ্বর আসে প্রবল বেগে
মাযে বকবে খুব ,
আজ না হয় শুধু কবিতা লিখেই
সাজাই তোমার রুপ



২৯শে বৈশাখ, ১৪২০বঙ্গাব্দ